ঈদ করতে দেশে এসে লাশ হলেন অবিন্তা

ঈদ করতে দেশে এসে লাশ হলেন অবিন্তা
দেশে ঈদ করতে এসে লাশ হলেন অবিন্তা কবীর।  গুলশান হামলায় এলিগ্যান্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান রুবা আহমেদের মেয়ে অবিন্তা কবীর ও তার দুই বান্ধবী মারা গেছেন। রুবা আহমেদের পক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এলিগ্যান্ট গ্রুপের এজিএম লিয়াকত হোসেন।  গত ২৭ জুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ঈদ করতে আসেন অবিন্তা।
ঈদ করতে দেশে এসে লাশ হলেন অবিন্তা
অভিযান শেষে লিয়াকত হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মা রুবা আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে অবিন্তার মরদেহ শনাক্ত করেন।  লিয়াকত হোসেন মিডিয়াকে জানান, রেস্টুরেন্টের পাশেই অবিন্তাদের বাসা। শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে দুই বান্ধবীসহ ওই রেস্টুরেন্টে যান অবিন্তা।  তাদের সঙ্গে একজন গানম্যান ছিলেন। এ ঘটনায় গানম্যান জিয়াউর রহমানও আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই অবিন্তাকে ফোন দেওয়া হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, অভিযান সমাপ্ত ঘোষণার পর আজ শনিবার সকালে স্বজনরা আর্টিজানে গিয়ে অবিন্তার মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে মরদেহ সিএমএইচে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অবিন্তা কবীরের মা রুবা আহমেদ সকাল থেকেই রেস্টুরেন্টের আশেপাশে অপেক্ষা করছেন। কালো বোরখা আর মাথায় কালো ওড়না দিয়ে মিডিয়া এড়িয়ে কেবলই বলতে থাকেন, এমনতো হওয়ার কথা ছিল না। এ সময় তিনি কারোর সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত ছিলেন না।
এক ফাঁকে দুপুরের দিকে তার কর্মচারীরা ম্যাডামকে একটু বসার সুযোগ করে দিয়ে রাস্তার পাশে একটা চেয়ার এগিয়ে দিলে প্রথম কথা হয় তার সঙ্গে ।  এতক্ষণ তিনি দেয়ালের দিকে মুখ করে ছিলেন। দেয়ালের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে তিনি বলেন, আমি বসবো না, তোমরা এসব করো না। আমি বসবোই না। এসময় তার পাশে থাকা ফিট এলিগেন্সের কর্মকর্তারা বলেন,  জানেন মেয়েটা আমেরিকা থেকে এসেছে মাত্র ২৭ তারিখ। মায়ের সঙ্গে  শেষ কখন কথা হলো জানতে চাইলে কর্মকর্তারা বলেন, সন্ধ্যার পর পর। এখানে যে এসেছিল তা ফোনে মাকে জানিয়েছিল। ততক্ষণে রুবা আহমেদ আরেকদফা থিতু হয়ে দাঁড়িয়েই বললেন, কাউকে কোনও অনুরোধ করবে না। তখনও দুচোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। সকাল থেকে স্বজন ও সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকে ক্লান্ত তবু মেয়ের লাশের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত বসতে রাজি নন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment